(আমাদের নতুন সিরিজ "ছোটদের নবী কাহিনী" । এই সিরিজে আমরা নির্ভরযোগ্য সুত্রে বর্নিত বিভিন্ন নবীদের কাহিনী জানব। ছোটদের উপযোগী করে লেখা হলেও, বড়দেরও অনেক কিছু জানার আছে)
---------------
(পুর্বে প্রকাশের পর)
সবাই অবাক হয়ে দেখল, চোখের পলক ফেলার আগেই রানীর সিংহাসন দরবারে এসে হাজির।
সোলায়মান আলাইহিস সালাম সিজদায় পড়ে গেলেন। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন।
যারা ঈমানদার, যারা আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস রাখেন, তারা কখনও অহংকার করেন না। তারা জানেন সব কিছু আল্লাহ্র নেয়ামাত। আল্লাহ যাকে খুশি তাকে সম্পদ দান করেন। তাই তারা সব সময় আল্লাহ্র কাছে কৃতজ্ঞ থাকেন। আল্লাহ্র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করেন।
আচ্ছা, এই যে সিংহাসনের কথা বললাম, তোমরা কি জান সিংহাসন কি?
ঠিক আছে, তোমাদের বুঝিয়ে বলি। আগের দিনে রাজা রানীরা দরবারে বসতেন। তারা বসতেন ঠিক মাঝখানে। আর রাজাদের যত মন্ত্রী উজির, যারা রাজাদের বিভিন্ন কাজে পরামর্শ দিতেন, তারা বসতেন দু পাশে। লম্বা সারি করে।
রাজা রানীরা যে চেয়ারে বসতেন তাকে বলা হয় সিংহাসন। এই চেয়ার অনেক উঁচু হয়। আর হয় অনেক দামি। অনেক দামী দামী হিরে, মনি-মুক্তা দিয়ে এই চেয়ার বানানো হয়। চেয়ার হিওরে মনী মুক্তোয় ঝিকমিক করে। দূর থেকেই চোখ ধাধানো আলো চোখে এসে লাগে। এই চেয়ারে বসে অনেক আরামা। এত আরাম যে, একটু বসলেই তোমার ঘুম এসে যাবে।
যাই হোক, আমরা গল্পে ফিরে যাই।
রানীর সিংহাসন সোলায়মান আলাইহিস সালামের দরবারে এল। সোলায়মান আলাইহিস সালাম সে চেয়ার নতুন করে সাজালেন। চেহারাটা একটু বদলে দিলেন। তিনি দেখতে চাইলেন, রানী তার সিংহাসন চিনতে পারে কি না!
এরপর সোলায়মান আলাইহিস সালাম খুব সুন্দর একটা কাঁচের প্রাসাদ বানালেন। প্রাসাদের সামনে সামনে জলাশয়। জলাশয়ের উপরে দিলেন স্বচ্ছ কাঁচ। সে কাঁচ এতটাই স্বচ্ছ, কেউ দেখলে বুঝতেই পারবেনা এখানে কাঁচ দেয়া আছে। পানি আছে ভেবে ভুল করবে।
জ্বিন আর মানুষেরা মিলে অনেক পরিশ্রম করে সেই প্রাসাদ আর জলাশয় বানিয়েছিল।
একদিন রানী বিলকিস তার লোকজন নিয়ে এলেন সোলায়মানের দরবারে। সোলায়মান তাকে জাকজমকের সাথে স্বাগত জানালেন। তাকে নিয়ে বসালেন সেই সিংহাসনে।
সোলায়মান রানীকে বললেন “এই সিংহাসন কি আপনার সিংহাসনের মত?”
বুদ্ধিমতি রানী নিজের সিংহাসন চিনতে পারলেন। বললেন “আমার সিংহাসন একদম এমনই”।
রানী আবারও বুঝতে পারলেন সোলায়মান কোন সাধারন মানুষ নন। তিনি আল্লাহ্র নবী। একমাত্র আল্লাহ্র নবীর পক্ষেই এত অল্প সময়ে রানীর সিংহাসনকে এখানে নিয়ে আসা সম্ভব।
এরপর রানী চললেন প্রাসাদের দিকে। প্রাসাদের পথে সেই জলাশয় পড়ল। রানী ভাবলেন, নিচে বোধহয় শুধুই পানি আছে। রানী পায়ের গোড়ালির কাছে কাপড় একটু উঠালেন। যাতে পানি লেগে কাপড় না ভিজে।
সোলায়মান আলাইহিস সালাম রানীকে বললেন “ভয়ের কিছু নেই। এটা কাঁচ। কাঁচের উপর দিয়ে আপনি হেটে যান। কাপড় ভিজবে না”
এ সব কিছু দেখে রানী মুগ্ধ হলেন। বুঝলেন, সোলায়মান অনেক জ্ঞানী, অনেক শক্তিশালী রাজা! কোন সাধারন মানুষের পক্ষে কি আর এত সুন্দর প্রাসাদ আর জলাশয় বানানো সম্ভব!
রানী তখনই আল্লাহ্র উপর ঈমান আনলেন। সোলায়মান আলাইহিস সালামকে আল্লাহর নবী বলে স্বীকৃতি দিলেন।
রানীর সাথে সাথে সাবা জাতির সবাই আল্লাহ্র উপর ঈমান আনল। সুর্য পুজা ছেড়ে দিল। হয়ে গেল ঈমানদার ভাল মানুষ।
(চলবে...)
---------------
(পুর্বে প্রকাশের পর)
সবাই অবাক হয়ে দেখল, চোখের পলক ফেলার আগেই রানীর সিংহাসন দরবারে এসে হাজির।
সোলায়মান আলাইহিস সালাম সিজদায় পড়ে গেলেন। আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করলেন।
যারা ঈমানদার, যারা আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস রাখেন, তারা কখনও অহংকার করেন না। তারা জানেন সব কিছু আল্লাহ্র নেয়ামাত। আল্লাহ যাকে খুশি তাকে সম্পদ দান করেন। তাই তারা সব সময় আল্লাহ্র কাছে কৃতজ্ঞ থাকেন। আল্লাহ্র নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করেন।
আচ্ছা, এই যে সিংহাসনের কথা বললাম, তোমরা কি জান সিংহাসন কি?
ঠিক আছে, তোমাদের বুঝিয়ে বলি। আগের দিনে রাজা রানীরা দরবারে বসতেন। তারা বসতেন ঠিক মাঝখানে। আর রাজাদের যত মন্ত্রী উজির, যারা রাজাদের বিভিন্ন কাজে পরামর্শ দিতেন, তারা বসতেন দু পাশে। লম্বা সারি করে।
রাজা রানীরা যে চেয়ারে বসতেন তাকে বলা হয় সিংহাসন। এই চেয়ার অনেক উঁচু হয়। আর হয় অনেক দামি। অনেক দামী দামী হিরে, মনি-মুক্তা দিয়ে এই চেয়ার বানানো হয়। চেয়ার হিওরে মনী মুক্তোয় ঝিকমিক করে। দূর থেকেই চোখ ধাধানো আলো চোখে এসে লাগে। এই চেয়ারে বসে অনেক আরামা। এত আরাম যে, একটু বসলেই তোমার ঘুম এসে যাবে।
যাই হোক, আমরা গল্পে ফিরে যাই।
রানীর সিংহাসন সোলায়মান আলাইহিস সালামের দরবারে এল। সোলায়মান আলাইহিস সালাম সে চেয়ার নতুন করে সাজালেন। চেহারাটা একটু বদলে দিলেন। তিনি দেখতে চাইলেন, রানী তার সিংহাসন চিনতে পারে কি না!
এরপর সোলায়মান আলাইহিস সালাম খুব সুন্দর একটা কাঁচের প্রাসাদ বানালেন। প্রাসাদের সামনে সামনে জলাশয়। জলাশয়ের উপরে দিলেন স্বচ্ছ কাঁচ। সে কাঁচ এতটাই স্বচ্ছ, কেউ দেখলে বুঝতেই পারবেনা এখানে কাঁচ দেয়া আছে। পানি আছে ভেবে ভুল করবে।
জ্বিন আর মানুষেরা মিলে অনেক পরিশ্রম করে সেই প্রাসাদ আর জলাশয় বানিয়েছিল।
একদিন রানী বিলকিস তার লোকজন নিয়ে এলেন সোলায়মানের দরবারে। সোলায়মান তাকে জাকজমকের সাথে স্বাগত জানালেন। তাকে নিয়ে বসালেন সেই সিংহাসনে।
সোলায়মান রানীকে বললেন “এই সিংহাসন কি আপনার সিংহাসনের মত?”
বুদ্ধিমতি রানী নিজের সিংহাসন চিনতে পারলেন। বললেন “আমার সিংহাসন একদম এমনই”।
রানী আবারও বুঝতে পারলেন সোলায়মান কোন সাধারন মানুষ নন। তিনি আল্লাহ্র নবী। একমাত্র আল্লাহ্র নবীর পক্ষেই এত অল্প সময়ে রানীর সিংহাসনকে এখানে নিয়ে আসা সম্ভব।
এরপর রানী চললেন প্রাসাদের দিকে। প্রাসাদের পথে সেই জলাশয় পড়ল। রানী ভাবলেন, নিচে বোধহয় শুধুই পানি আছে। রানী পায়ের গোড়ালির কাছে কাপড় একটু উঠালেন। যাতে পানি লেগে কাপড় না ভিজে।
সোলায়মান আলাইহিস সালাম রানীকে বললেন “ভয়ের কিছু নেই। এটা কাঁচ। কাঁচের উপর দিয়ে আপনি হেটে যান। কাপড় ভিজবে না”
এ সব কিছু দেখে রানী মুগ্ধ হলেন। বুঝলেন, সোলায়মান অনেক জ্ঞানী, অনেক শক্তিশালী রাজা! কোন সাধারন মানুষের পক্ষে কি আর এত সুন্দর প্রাসাদ আর জলাশয় বানানো সম্ভব!
রানী তখনই আল্লাহ্র উপর ঈমান আনলেন। সোলায়মান আলাইহিস সালামকে আল্লাহর নবী বলে স্বীকৃতি দিলেন।
রানীর সাথে সাথে সাবা জাতির সবাই আল্লাহ্র উপর ঈমান আনল। সুর্য পুজা ছেড়ে দিল। হয়ে গেল ঈমানদার ভাল মানুষ।
(চলবে...)
0 Comments